Singing a Solo







StarMaker অ্যাপে কীভাবে গান গাইবেন?

  • StarMaker-এ গান গাওয়ার জন্য আপনার একটা ইয়ারফোন লাগবে, আপনার যদি ওয়্যারলেস হেডফোন থাকে তাহলে আরও ভালো। আর আপনাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যে জায়গায় গানটি গাইবেন সেখানে যদি খুব বেশি আওয়াজ না থাকে তাহলে গানটি ভালো রেকর্ড হয়ে যাবে।
  • গান গাওয়ার সময় একটা বিশেষ জিনিস মাথায় রাখবেন যে আপনার যদি ওয়্যারলেস ইয়ারফোন থাকে তাহলে গান গাইতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না, তবে যদি আপনার কাছে সাধারণ ইয়ারফোন থাকে তাহলে ইয়ারফোনের মাইক সামনে রাখবেন না। আপনার মুখের ইয়ারফোন মাইকটি আপনার মুখ থেকে সামান্য দূরে এবং আপনার মুখের উপরে বা নীচে রাখুন। যাতে আপনি যখন একটি গান গাইছেন, আপনার ভয়েস খুব স্পষ্টভাবে রেকর্ড করা হয়। 

১। প্রথমত, গানটি গাওয়ার আগে, আপনার ইয়ারফোনটি মোবাইলের সাথে সংযুক্ত করুন এবং StarMaker অ্যাপটি খুলুন।


২। এখন গানের তালিকা আপনার সামনে আসবে, অথবা উপরের সার্চ বক্সে আপনার পছন্দের গান নির্বাচন করার পর, "Sing" এ ক্লিক করুন।

৩। এখন স্টারমেকার গানের লিরিক্স আপনার সামনে আসবে এবং সোলো, ডুয়েট, নীচে স্টার্ট এবং উপরের ডানদিকে ক্যামেরার মত আইকন আসবে। আপনি চাইলে ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করেও ভিডিও করতে পারেন।



৪। গানে করার আগে, আপনি যদি চান, আপনি গানটি গাওয়ার সময় আপনার ভয়েস শুনতে পারেন। এর জন্য আপনাকে সেটিংসে গিয়ে ভয়েস-এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে আপনি ভয়েস ব্যাক টু হেডফোনের সুবিধা পাবেন, আপনাকে এটি চালু করতে হবে।


৫। এর পরে, আপনাকে "স্টার্ট" -এ ক্লিক করতে হবে।

৬। এখন আপনার গান শুরু হবে এবং আপনার উপরে মিউজিক বাজবে আপনি কিভাবে গাইছেন এবং আপনার মিউজিকের সাথে লিরিক্স বাজবে তাও পয়েন্ট দেখাবে।



৭। গান শেষ হওয়ার পরে, আপনি যে গানটি করেছেন তার পয়েন্ট স্কোর আপনার সামনে দেখানো হবে। যদি আপনার চমৎকার গাওয়া হয় তাহলে A, A+ বা A++ দেখাবে, যদি ভালো গাওয়া হয় তাহলে আপনি B, C পয়েন্ট স্কোর দেখাবেন। এবং যদি এটি সঠিকভাবে গাওয়া না হয় তবে একটি ডি স্কোর শো হবে। 
তবে এইগুলো খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। 





৮। এখন আপলোড মেনু আপনার সামনে খুলবে এবং এতে, আপনি আপনার গান শুনতে পারবেন, প্রভাবগুলিতে ক্লিক করে, আপনি আপনার পছন্দের ইফেক্ট দিতে পারেন এবং আপনার গানের সংগীত এবং ভয়েস আডজাস্ট করতে পারেন।

৯। কভারে ক্লিক করে আপনার গানের একটি কভার ফটো আছে। আপনি চাইলে আপনার নিজের ছবি বা আপনার পছন্দের অন্য কোনো ছবি রাখতে পারেন।

১০। এর পরে আপনি আপনার গান পোস্ট করতে পারেন, আপনি গান পোস্ট করতে কিছু কথা, হ্যাশট্যাগ এবং কাউকে @ট্যাগ যোগ করতে পারেন।

১১। সমস্ত সেটিংস সহ গানটি পোস্ট করতে "Post" এ ক্লিক করুন৷ এখন আপনার গান আপলোড শুরু হবে। 





১২। আপনি যদি গানটি পরে পোস্ট করতে চান, তাহলে ডান পাশের ড্রাফ্ট অপশনে ক্লিক করে আপনি এটিকে Draft-তে সংরক্ষণ করতে পারেন।

১৩। গানটি আপলোড হওয়ার পরে, "চেক" এ ক্লিক করুন এবং আপনার গানটি বাজানো হবে। এখন আপনি আপনার প্রোফাইল কভারে গিয়ে সেই গানটি দেখতে পারেন।


এর বাইরে আরো কিছু টিপস আছে যা নিচে দেওয়া হলঃ


১. গান গাওয়ার সময় একটা স্পন্সের মাস্ক পরে গান গাওয়া যেতে পারে যাতে কন্ঠের ভেতর থেকে শ্বাসপ্রশ্বাস সরাসরি মাইকের উপরে না পড়ে। এটা একেবারে করতেই হবে এমন না তবে সরাসরি মাউথপিসের উপরে নিশ্বাস পড়া থেকে বাঁচাতে পারে।




২. কানের সাথে হেডফোন পেচিয়ে, মুখের সাথে মাইক্রোফোন আটকে রাখলে মুখের পেশি নড়াচড়া করার সময় সেই নয়েজ গানের ভেতরে চলে যায়। আবার জোরে চিল্লানি/টান দেওয়ার সময় অতিরিক্ত বাতাস মাইকে যেয়ে কণ্ঠ ফেটে যায়। গানের মাধুর্যতা নষ্ট করে দেয় অনেক সময়। লম্বা টান দেওয়ার সময় বা হাই স্কেলের সময় এই কারণে মাইক্রোফোনটা হালকা মুখের থেকে দূরে নেওয়া ভাল। আবার যখন লোয়ার স্কেলে গাওয়া হয় তখন মুখের কাছাকাছি নিয়ে আসা ভাল।

৩. স্টারমেকারে গান বাছাই করা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ । যে গানের পয়েন্টস আছে সেই গানটা গাইতে হবে, তাতে গানের কোয়ালিটিটা কেমন হচ্ছে তা সঠিকভাবে বোঝা যাবে । সেই কারণে যেই গানটা গাইতে চান সেই গানের শুধুমাত্র পপুলার সং গুলোর দিকে নজর না রেখেও অন্যান্য ট্রাকগুলোকে ট্রাই করে দেখা ভাল। অনেক সময় পপুলার সং গুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডে পিয়ানো ভার্সন বা বাঁশির ভার্সন থাকে যার সাথে ভয়েস মেলানো খুবই মুশকিল। ভয়েস এর চেয়ে ইন্সট্রুমেন্টের শব্দটাই বেশি প্রাধান্য পেয়ে যায় সেইক্ষেত্রে। তাই একেবারে পরিচ্ছন্ন কারাওকে ট্র‍্যাক সিলেক্ট করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
> সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আমরা অনেকেই একবার দুইবার করে ইউটিউবে গান শুনে এসেই স্টারমেকারে গাইতে চাই, যে কারণে সুর-তাল অনেক সময় মেলে না। পচা করে ৪/৫ টা গান গাওয়ার চেয়ে সময় নিয়ে একটু ভালভাবে বেশ কয়েকবার শুনে, হালকা চর্চা করে একটা গান গাওয়াও ভাল মনে করি।




৪. গানের ইফেক্ট হিসেবে Studio Mode, Karaoke Mode ছাড়াও Distant Mode/Hall Effect Mode টা অন্যান্যদের চেয়ে ভালো এবং বহুল ব্যবহৃত। যে কোন ক্ষেত্রেই মিউজিক এবং ভয়েসের ব্যালেন্স করা অনেক সময় সাপেক্ষের কাজ। কারণ গান গাওয়ার আগে এবং পরে এই ব্যালেন্সটা বিভিন্ন ভাবে চেক করার দরকার। কখনো হেডফোন দিয়ে শুনে কখনো হেডফোন ছাড়া শুনে চেক করতে হবে। অনেক্ক্ষেত্রে আবার ভয়েস কম হয়ে থাকে, বা মিউজিক বেশি। তবে গান আস্তে গাইলে সমস্যা নেই কিন্তু ভয়েস বাড়িয়ে ৭৫/৮০ আর মিউজিক ৬০/৬৫ করে দিলে ভাল ম্যাচিং হয়। পোষ্ট করার আগে বার বার শুনে বুঝতে হবে যে ব্যালান্সটা ঠিক মতন হচ্ছে কিনা। মনে রাখতে হবে যে গান গাওয়া শেষ করে তা পোষ্ট করার আগেও আবার এডিট করার সুযোগ আছে।




Effect: Custom/Studio
Reverb: 40~50
Room Size: 80~90


Voice: 60~70
Music: 70~80


> সাধারণত উপরের সেটিংসটাতে ভাল গান হয় তবে গান শেষে প্রতিটা মোবাইলের কনফিগারেশন আর কণ্ঠের সাথে মিলিয়ে সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হবে।




৫. গান গাওয়া শেষে গান পোস্ট করার আগে সেখানে কিছু কথা লিখে মনের ভাব অথবা ঐ গানটি নিয়ে আপনার অনুভুূূতির কথা লিখলেও মন্দ হয়না। গানের নাম শিল্পীর নাম সহ ফ্যামিলির নাম গুলোকে হ্যাশট্যাগ এর মাধ্যমে পোস্টে সংযুক্ত করলে তা পরিপূর্ণতা পায়।


৬. পোস্টের শেষে ফ্যামিলির শেয়ারিং গ্রুপে শেয়ার করলে তা বাকী মেম্বারস বুঝতে পারে যে আপনি নতুন গান রিলিজ করেছেন। শেয়ার না দিলে ফ্যামিলি মেম্বারদের জানার সুযোগ খুবই কম থাকে আর প্রশংসা শোনার সম্ভাবনাও থাকে না।






Post a Comment