Fortnight Event: সুরের সাতকাহন-(১০ পর্ব) | পঞ্চ কবির গান

         Fortnight Event: সুরের সাতকাহন | পঞ্চ কবির গান




𝄞সুরের সাতকাহন𝄞


"সুরের সাতকাহন" ফ্যান্টাসিয়া ফ্যামিলি আয়োজিত নতুন একটি ধারণার সংযোজন। এবারে এই অনুষ্ঠানের ১০ম পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেহেতু "গান শুনে যান" অনুষ্ঠানে আমাদের ফ্যামিলির সদস্যরাই কেবল গান করে থাকেন তাই এইবারে আমরা অন্যান্যদের সাথে গান গাওয়ার সুযোগ নিতে চাই। 

এই  প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য সমূহ:

⦿ এটা একটি গানের অনুষ্ঠান যেখানে কেবল Solo কিংবা Duet গান করা যাবে; No FreeStyle
⦿ সাধারণত প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর একবার হয়ে থাকে
⦿ প্রতি অনুষ্ঠানে আলাদা করে Theme বা গানের বিষয় নির্ধারণ করে দেয়া হবে পূর্বেই
⦿ অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত সময়ে Magic Carpet রুমে কেবল সেই Theme -এ গান হবে
⦿ ফ্যান্টাসিয়া পরিবারের সদস্য ছাড়াও যে কেউ এখানে এসে এই Theme-এর উপরে গান গাইতে পারবে
⦿ যেহেতু অনুষ্ঠানের আয়োজক আমরা (ফ্যান্টাসিয়া পরিবার) তাই অন্তত আমরা সবাই চেষ্টা করব নির্দিষ্ট Theme-এর উপরে গান গাওয়ার এবং পূর্বেই তার প্রস্তুতি নিয়ে আসা
⦿ যেহেতু নির্দিষ্ট Theme-এর  উপরে গান তাই অনেকেই হয়তো Common গানগুলো করতে চাইবে এই কারণে Uncommon গানের Track সহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো
⦿ আগে থেকে গানের লিস্ট কোথাও কাউকে জমা দেওয়া লাগবে না
⦿ নির্দিষ্ট Theme-এর  উপর গান Queue করে পার্টি রুমে যে যতখুশি গান করতে পারবে 
⦿ এইবারের পর্বে  আমরা আয়োজন করেছি পঞ্চকবির গান 
⦿ পঞ্চকবি হলেন বাংলা সাহিত্যের পাঁচজন কবি যাঁরা কবিতা লেখার পাশাপাশি একই সাথে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক । তাঁরা হলেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন ও অতুলপ্রসাদ সেন। 
গানের সংখ্যার দিক থেকে কাজী নজরুল ইসলাম হলেন প্রথম(৩০০০-এর বেশি), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলেন দ্বিতীয়(২২৩২), দ্বিজেন্দ্রলাল রায় হলেন তৃৃৃতীয়(৫০০), রজনীকান্ত সেন হলেন চতুর্থ(২৯০, তবে প্রকৃত সংখ্যা অজানা) ও অতুলপ্রসাদ সেন হলেন পঞ্চম(২০৮)।

  1. রবীন্দ্রসঙ্গীত (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান)
  2. নজরুলগীতি (বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম)
  3. দ্বিজেন্দ্রগীতি (বিশিষ্ট বাঙালি নাট্যকার-সঙ্গীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়)
  4. কান্তগীতি (কবি ও সঙ্গীত রচয়িতা রজনীকান্ত সেন)
  5. অতুলপ্রসাদী (সঙ্গীতজ্ঞ-কবি অতুলপ্রসাদ সেন)

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আজকের অনুষ্ঠান  আমাদের এই পঞ্চকবির গানের উপরে হতে যাচ্ছে। শিল্পীদের সুবিধার্থে নিচে একটা তালিকা দেওয়া হলোঃ

রবীন্দ্রসঙ্গীতঃ
আমার পরান যাহা চায়
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
মোর বিনা ওঠে
একটুকু ছোঁয়া লাগে
আমি তোমারও সঙ্গে বেঁধেছি
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে
পুরানো সেই দিনের কথা 
আমি চিনি গো চিনি তোমারে 
সখী ভাবনা কাহারে বলে
তুমি রবে নীরবে
আমার ভিতর বাহিরে
ও যে মানে না মানা
একলা চলো রে
ভালোবেসে সখি
আলোকের এই ঝর্ণাধারায় 
আমার বেলা যে যায়
সেদিন দুজনে
আমার মল্লিকা বনে
তুমি কোন কাননের ফুল
আমার মনের কোণের বাইরে লিরিক্স
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
আমার হিয়ার মাঝে
জাগরনে যায় বিভাবরী
মন মোর মেঘের সঙ্গী
তোমার খোলা হাওয়া লিরিক্স

নজরুলগীতিঃ
শুকনো পাতার নূপুর পায়ে
চমকে চমকে ধীর ভীরু পায়
ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
পলাশ ফুলের মউ পিয়ে
এস বসন্তের রাজা হে আমার
তুমি নন্দন-পথ-ভোলা
তোমার ফুলের মতন মন
হেসে হেসে কল্সি নাচাইয়া
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধুলায়
গত রজনীর কথা পড়ে মনে
পলাশ ফুলের গেলাস ভরি
রহি রহি কেন আজো
পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
চাঁদের পিয়ালাতে আজি
এস শারদ প্রাতের পথিক
মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা
সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
আমার দেওয়া ব্যথা ভোলা
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু
গোধূলির রং ছড়ালে
সকরুণ নয়নে চাহে
বাজিছে বাঁশির কার
বন-হরিণীর তব বাঁকা আঁখির
রেশমি চূড়ির তালে
সেই পুরানো সুরে আবার
ধীরে যায় ফিরে ফিরে চায়
পিয়াসী প্রাণ তারে চায়
বেলা পড়ে এল
এল ফুলের মহলে ভোমরা
ফিরে ফিরে দ্বারে আসে যায়
আজও ফোটেনি কুঞ্জে
পলাশ মঞ্জরি পরায়ে দে লো
এ ঘোর-শ্রাবণ-নিশি
দিও ফুলদল বিছায়ে
অবুঝ মোর আঁখি-বারি
উচাটন মন ঘরে রয় না
ফিরে গেছে সই
ছাড় ছাড় আঁচল বঁধু
কুল রাখ না রাখ
ফিরিয়া এস এস হে
আঁধি ঘুম-ঘুম
সেদিনো প্রভাতে
জাগো জাগো রে মুসাফির
কত জনম যাবে
হায় ঝরে যায়
এ কোথায় আসিলে হায়
ভুল করে আসিয়াছি
ভোলো প্রিয় ভোলো ভোলো
আমি যেদিন রইব না গো
এলে যে গো চির-সাথী
ও তুই যাস্নে রাই কিশোরী
দুঃখ ক্লেশ শোক
ভোলো অতীত-স্মৃতি
চির-কিশোর মুরলীধর
সাগর আমায় ডাক দিয়েছে
ভালোবেসে অবশেষে
এস নূপুর বাজাইয়া
রাস-মাঞ্চাপরি দোলে মুরলীধর
নাচিয়া নাচিয়া এস
নাচে ঐ আনন্দে
তোমারে কি দিয়া পূজি
আমার নয়নে কৃষ্ণ
মন লহ নিতি নাম
তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি
দাও দাও দরশন
নাচিছে নট-নাথ
বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে
বিজন গোঠে কে রাখাল
আজি নন্দ দুলালের সাথে
শোনো লো বাঁশিতে
হেলে দূলে বাঁকা কানাইয়া
মণি-মঞ্জীর বাজে
ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে
আনন্দ দুলালী ব্রজবালার সনে
গুঞ্জ-মালা গলে
মোর মাধব শূন্য মাধবী কুঞ্জে
ব্রজের দুলাল ব্রজে আবার
সখি যায়নি তো শ্যাম মথুরায়
নমো নটনাথ
ভবের এই পাশা খেলায়
ভুবনে ভুবনে আজি
অসুর- বাড়ির ফেরৎ এ মা
আজি প্রথম মাধবী ফুটিল কুঞ্জে
জাগো যোগমায়া জাগো মৃন্ময়ী
হোরির রঙ লাগে
বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু
জাগো জাগো ! নব আলোকে
পরান হরিয়াছিলে পাশরিয়া
নবীন বসন্তের রানী তুমি
আজি মিলন-বাসর
ওরে হুলোরে তুই রাত বিরেতে
নিয়ে কাদা মাটির তাল
আজকে হোরি ও নাগরী
আচ লাচনের লেগেচে যে গাঁদি
চায়ের পিয়াসী পিপাসিত চিত আমারা চাতক দল
গিন্নির ভাই গান গাহে
নথ-দন্ত-বিহীন
নমো নমঃ আবু আর হাবু
এবং একে একে সব


কান্তগীতি:
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে
আমিতো তোমারে চাহিনি জীবনে
কেন বঞ্চিত হব চরণে
দেখ দেখি মন নয়ন মুদে ভালো করে
আমায় সকল রকমে কাঙাল করেছে
কবে তৃষিত এ মরু ছাড়িয়া যাইব
শুনাও তোমার অমৃত বাণী
কেউ নয়ন মুদে দেখে আলো
কেউ দেখে আঁধার
ওরা চাহিতে জানে না
তোমারি দেওয়া প্রাণে তোমারি দেওয়া দুখ
প্রেমে জল হয়ে যাও গলে
স্বপনে তাহারে কুড়ায়ে পেয়েছি
পাপ রসনারে হরি বল

দ্বিজেন্দ্রগীতিঃ 
ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
বঙ্গ আমার! জননী আমার! ধাত্রী আমার! আমার দেশ
যেদিন সুনীল জলধি হইতে উঠিলে জননী ভারতবর্ষ
ওই মহাসিন্ধুর ওপার হতে

অতুলপ্রসাদী
মিছে তুই ভাবিস মন
সবারে বাস রে ভালো
বঁধুয়া
নিঁদ নাহি আঁখিপাতে
একা মোর গানের তরী
কে আবার বাজায় বাঁশি
ক্রন্দসী পথচারিণী 
বলো বলো বলো সবে
হও ধরমেতে ধীর তাঁর 
মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা! 


অনুষ্ঠান আয়োজন ও পরিচালনায়: ফরাজী, রিফাত ও তার দল (Fantasia Family)
Room ID: 566720
_______________________________________________________

সরাসরি পার্টি রুমে গিয়ে গান গাইতে এখানে ক্লিক করুন  Party Room: Magic Carpet


Fortnight Event সুরের সাতকাহন | 

Post a Comment

Previous Post Next Post